Pages

Thursday, May 1, 2014

নামাজের তাশাহুদে বর্ণিত শবে মেরাজে আল্লাহ ও তাঁর রাছুলের কথোপকথন: ইতিহাস, ব্যাখ্যা গুরুত্ব ও মাসয়ালা

নামাজের তাশাহুদে বর্ণিত শবে মেরাজে আল্লাহ ও তাঁর রাছুলের কথোপকথন: ইতিহাস, ব্যাখ্যা গুরুত্ব ও মাসয়ালা



তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এর ইতিহাস:

আমরা যারা নামাজ পড়ি, সকলেই জানি নামাজের দ্বিতীয় ও চতুর্থরাক’য়াতের শেষে-তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব। কিন্তু জানা আছে কি তাশাহহুদ এর ইতিহাস ? কি পড়ি আমরা তাশাহহুদ এর মধ্যে ? আসুননা, আমরা আজকে জানার চেষ্টা করি তাশাহহুদ এর অর্থ আর ইতিহাস। শুরুর কথা............ .হযরত খাদিজা (রাঃ) ইন্তেকাল করেছেন। মক্কার মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করলেও,,, অধিকাংশই মুশরিক রয়ে গেছে। তাই রাসুল (সাঃ) এর মনে অনেক ব্যাথা। দিনে দিনে রাসুলের (সাঃ) প্রতি কোরাইশদের অত্যাচারের মাত্রাও বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন রজব মাসের এক মহিমাম্বিত রজনীতে তার প্রিয় বন্ধুকে হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে তার সান্ধিধ্যে ডেকে নিলেন, যা ইতিহাসে মে’রাজ নামে পরিচিত। রাসুল (সাঃ) বায়তুল্লাহ হয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস, অতপর উর্দ্ধজগতের সফর শুরু করলেন। বোরাক নামক বেহেশতি বাহনে চড়ে প্রথম আসমান, দ্বিতীয় আসমান, তৃতীয় আসমান করে অতপর সিদরাতুল মুনতাহায় পৌছলেন। এ পর্যন্ত হযরত জিব্রাইল (আঃ) রাসুল (সাঃ) এর সাথী হলেন। সিদরাতুল মুনতাহাতে গিয়ে হযরত জিব্রাইল (আঃ) রাসুল (সাঃ) এর কাছ থেকে বিদায় নিলেন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার বন্ধুর জন্য বোরাকের থেকেও গতি সম্পন্ন বাহন ‘রফরফ’ পাঠিয়ে দিলেন। এ বাহনে চড়ে রাসুল (সাঃ) আল্লাহর নূরের সত্তর হাজার পর্দা অতিক্রম করে মহান প্রভুর দরবারে গিয়ে পৌছলেন। দুজন দুজনার খুব নিকটবর্তী হলেন। আল্লাহ হলেন মেজবান আর আমার নবী (সাঃ) হলেন মেহমান। সুন্নত তরীকা হলো মেহমান কারো বাড়িতে গেলে মেজবানের জন্য কিছু তোহফা/উপহার নিয়ে যাওয়া। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতে গেছেন তার প্রিয় রাসুল (সাঃ), তিনি কি নিয়ে যেতে পারেন ? আল্লাহতো দুনিয়াবী কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন। তাহলে ? আল্লাহর হাবীব জনাবে মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী হলেন, এমনকি তাদের মাঝে একটি রশি বা একটি ধনুকের সমান জায়গার ব্যাবধান ছিলো তখন- শ্রেষ্ঠ তোহফা হিসেবে পড়লেন. "আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্তয়্যিবাত" “সকল মর্যাদাব্যঞ্জক ও সম্মানজনক সম্বোধন আল্লাহর জন্য। সমস্ত শান্তি, কল্যাণ ও প্রাচুর্যের মালিক একমাত্র আল্লাহ। সব প্রকার পবিত্রতার মালিকও তিনি।” এক কথায় রাসুল (সাঃ) আর্থিক, শারিরীক ও মৌখিক সব ধরনের ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য তোহফা হিসেবে পেশ করলেন। অতপর আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সা.)কে তিনটি জিনিষ দিলেন এভাবে- "আসসালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু" হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। উম্মতের কান্ডারী নবী (সাঃ) এমন মিলন মুহুর্তেও তার উম্মতকে ভুলেন নাই। আল্লাহর অনুগ্রহ তার উম্মতের জন্যও চেয়ে নিলেন এভাবে- "আসসালামু আ’লাইনা ওআ’লা- ই’বাদিল্লাহিস সলিহীন" আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দাহদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) এর এমন মধুর আলোচনা শুনে আরশবাহী- সকল ফেরেশাতাগণ সমস্বরে একত্রে বলে উঠলেন- "আশহাদু আন লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়ারাসুলুহু" আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি মোহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দাহ এবং রাসুল। আল্লাহ পাক রাব্বুল আ’লামিন, রাসুল (সাঃ) এবং ফেরেশতাদের এমন সম্মিলিত কথোপকথনই হয়ে গেলো তাশাহহুদ, যা মে’রাজের রজনীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোহফা হিসেবে পাওয়া পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ সহ প্রত্যেক নামাজের দুই রাকাত বা চার রাকা’তের বৈঠকে পড়া ওয়াজিব

তাশাহুদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পাচ রকমের পাওয়া যায় হাদিসের মাঝে(প্রত্যেকটির নামকরন করা হয়েছে সাহাবাদের নামে যিনি তা বর্ণনা করেছেন)

আমরা শিখব যেটা ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেছেন- তিনি বর্ণনা করেন যে নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাকে শিক্ষা দিয়েছেন তার হাত নবী (সঃ) হাতের মাঝে রেখে, ইবনে মাসউদ পরবতীতে বর্ণনা করেছেন তার ছাত্র আলকামাহকে ঠিক সেই ভাবে যেভাবে মুহাম্মদ (সঃ) তাকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং আলকামাহ শিক্ষাদেন তার ছাত্র ইবরাহিম -আন-নাকাহ কে ঠিক একই ভাবে ইবরাহিম থেকে হাম্মাদ ইবনে সালামাহ এবং তারপর আবু হানীফা সকলেই একইভাবে হাতের মাঝে হাত রেখে তাদের ছাত্রকে শিক্ষা দেন --এতেই বুঝা যায় তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এর গুরুত্ব।

ইবনে আব্বাস ইবনে মাসউদ এবং বাকীরা বর্ননা করেন যে নবী করিম (সঃ) তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) শিক্ষা দিতেন যেন তিনি কোরআনের সুরা শিক্ষা দিচ্ছেন এটাই প্রামান করে তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এবং এটা মুখস্ত করার গুরুত্.।

তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) ইবনে মাসউদ হতে বর্ননা :
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাতু
(সমস্ত্ তা’যীম, সমস্ত্ ভক্তি, নামায, সমস্ত্ পবিত্র ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর জন্য্, আল্লাহর উদ্দেশ্যে),
আস্’সালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান্’নাবিয়্যু ওয়া রহ্’মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
(হে নবী! আপনাকে সালাম এবং আপনার উপর আল্লাহর অসীম রহমত ও বরকত)
আস্’সালামু আ’লাইনা ওয়া আলা ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন
(আমাদের জন্য এবং আল্লাহর নেক বান্দাদদদের জন্য আল্লাহর পহ্ম্ থেকে শান্তি অবতীর্ন হোক)।
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু
(আমি সাহ্ম্ দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই এবং মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর বন্দা ও রাসুল।) ।


তাশাহ্’হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) এর অর্থ:
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাত।

আত্তাহিয়্যাত=সম্ভাষণ/অভিনন্দন
বহুবচন ত্তাহিয়্যাত(সম্ভাষণ) এসেছে মুল শব্দ হায়াত মানে জীবন- কারন পূর্ব ইসলামী জাহেলীয়া যুগে মানুষ একে অপরকে সম্ভাষণ/অভিনন্দন জানাত "হায়াকাল্লাহ" বলে যার অর্থ অপর জনের জীবনের জন্য দোয়া. মহানবী (সঃ) পরে আমাদের শিক্ষা দেন ইসলামী সম্ভাষণ/অভিনন্দন ( আসসালামু আলাইকুম) কিন্তু তাহিয়া শব্দ অপরিবর্তিত থেকে যায়।

লিল্লাহি= আল্লাহর জন্য
এটা কি বুঝায় ?? আমরা আল্লাহকে সম্ভাষণ/অভিনন্দন জানাই না, কারন তিনি আস সালাম তাই না?? আমরা কি বলি আল্লাহ আস সালামুআলাই কুম??

একজন বিদ্বান/শিক্ষিত আবদুল্লাহ বি সালিহ আল ইজলি বর্ননা করেন : তিনি বলেন তিনি খুবই কৌতূহলী ছিলেন জানার জন্য এটা "লিল্লাহি" দ্বারা কি বুঝায়। তিনি আর একজন বিদ্বান/শিক্ষিত ব্যক্তির কাছে যান যার নাম আল-কাইশাঈ এবং তিনি বলেন এটার অর্থ "বরকত (আশীর্বাদ/কল্যাণ)" তার পর তিনি বললেন বরকত বলতে কি বুঝায় ?? আল-কাইশাঈ বলেন তিনি এরচেয়ে বেশি জানেন না . আল ইজলি সন্তুষ্ট হতে পারেননি এবং তিনি মুহাম্মদ বিন হাসান আশ-শায়বানির কাছে যান এবং জিগ্গেস করেন " আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি" বলতে কি বুঝায় এবং মুহাম্মদ বিন হাসান উত্তর দেন এটা একটা শব্দ যা আমরা আল্লাহকে উপাসনা বা শ্রদ্ধা করতে বুঝাই এটুকুই তিনি বলতে পারেন .

আল ইজলি তখনো সন্তুষ্ট হতে পারেন নি মুহাম্মদ বিন হাসান এর উত্তরে তারপর তিনি মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আস-শাফাঈর দ্বারস্থ হন এবং তাকে জিগ্গেস করেন এবং বলেন যাদের কাছেই আমি জিগ্গেস করি কিন্তু সঠিক উত্তর পাচ্ছিনা ,আস-শাফাঈ বলেন তাপনি তাদের কেন জিগ্গেস করেন তারা তো কবিতা জানে না !! . (কারন ঈমাম আস-শাফাঈ একজন দীপ্তিমিান্/উজ্জ্বল কবি ছিলেন) তিনি বলেন


যখন আপনি রাজার দরবারে যান, আপনি রাজাকে সম্ভাষণ/অভিনন্দন করেন মহামান্য/মর্যাদাবান/খ্যাতিমান/উদার রাজা বলে . ঠিক তেমনি " আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি" বলে আমরা সম্ভাষণ/অভিনন্দন শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য করছি যখন আমরা তার সাহাজ্য প্রর্থনা করি নামাজে.

তার মানে "রাজকীয় সম্ভাষণ/অভিনন্দন উপযুক্ত শুধু মাত্র মাহান প্রভু/ আমাদের মালিক আল্লাহর জন্য"-- এটা বলার মানে এমন যে আমরা আল্লাহর হাজ দরবারে প্রবেশ করছি এবং তাকে বলছি সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য।


ওয়াচ্ছালাওয়াত: বহুবচন সালাহর অর্থ আমাদের নামাজ শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য এটা দ্বারা উল্লেখ করে সকল প্রকার ইবাদত যা আমরা করি।

ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাত: বহুবচন ত্ব্ইয়্যিবের অর্থ সুন্দর জিনিস সমুহ অগ্রহ / আকর্ষন করা কিছু

ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্’ত্ব্ইয়্যিবাত একসাথে ব্যবহার হয় যা বুঝায় সকল সুন্দর কাজ এবং আমাদের সকল ভাল গুনাবলি ও কাজ এবং অন্যের সাথে ভাল ব্যবহার যাই করি শুধু মাত্র আল্লাহর জণ্য.
দেখুন এই চারটি শব্দের ব্যাপকতা !!!

সুফল: এটা আন্তরিকতা নিশ্চিত করে যে একজন মানুষ তার উন্নতচরিত্র গঠনে সচেস্ট থাকবে. এমন কি আমরা যখন অন্যের সাথে আচার - ব্যবহার করি তার মুল কারন থাকে আল্লাহর সাথে দ্বায় বদ্ধাতা উন্নতচরিত্র গঠনে, এ কারনে নয় যে অন্য জন আমার সাথে কি ভাবে ব্যবহার করল বা তার সম্পকে আমার অনুভূতি/ভাবনা কেমন তার জন্য তা নয় বরং সকলের সাথে উন্নত ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য।

আস্’সালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান্’নাবিয়্যু ওয়া রহ্’মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

আস-সালাম: অর্থ শান্তি ও নিরাপত্তা, ইসলাম এসছে একই মুল শব্দ হতে কারন আল্লাহর কাছে আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যমে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তা পাই/ অর্জন করি।

সুল্লাম: নির্দেশ করে সিড়ি বা মই এসেছে একই শব্দ হতে। কেন? কারন সিড়ি /মই আমাদের নিরাপত্তাহীন /বিপজ্জনক কিছু মনে করায় তাই আরবরা তখন সুল্লাম নাম দিয়েছে যাতে আমাদের প্রথমেই মনে হয় শান্তি ও নিরাপত্তার কথা।

আলাইকা: আপনার উপর ( যেমন আপনার উপর শান্তি বষিত হোক) এটা আরো জোরাল ও আবেগপুর্ণ (ইসমিয়া থেকে) আগে আল্লাহুম্মা সাল্লিম আলা ফুলান, যা আগে ব্যবহৃত হত।

আইয়্যুহান্’নাবিয়্যু: অর্থ হে নবী. নবী এসেছে দুটা মুল শব্দ হতে নাবা: যা বুঝায় খবর যা ১) খুবই শুরুত্বপুর্ন ২) আপনার সাথে সম্পর্ক যুক্ত।
তার মানে নবী হচ্ছেন যিনি খুবই শুরুত্বপুর্ন খবর/সংবাদ আনেন যা আপনার/সকলের জন্য প্রযোজ্য। এমন কিছুই নেই যা নবী (সঃ)বলেছেন যা শুরুত্বপুর্ন ও প্রয়োজনীয় নয়

নাবউন: উচ্চপদ বা প্রসারিত অবস্থা, নবী (সঃ) এমন উচ্চতায় যা সাধারন সকল মানুষ হতে উপরে.

ওয়া রহ্’মাতুল্লাহি: অর্থ অনুকম্পা /ক্ষমা প্রবৃত্তি (আল্লাহর ক্ষমা)
আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন/ আল্লাহ আপনাকে অনুকমপা বর্ষন করুন।

ওয়া বারাকাতুহু : অর্থ এবং তার দয়া বারাকাহ এটার মুল শব্দ বুঝায় আল্লাহর আশীর্বাদ যা দীর্ঘস্থায়ী /দীর্ঘ আয়ু ব্যাপি
উদাহরন : আমরা বলি "এবং আল্লাহ তাহার দীর্ঘস্থায়ী আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষন করুন"

আস্’সালামু আ’লাইনা ওয়া আলা ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন
(আমাদের জন্য এবং আল্লাহর নেক বান্দাদদদের জন্য আল্লাহর পহ্ম্ থেকে শান্তি অবতীর্ন হোক)।

আস্’সালামু আ’লাইনা=আমাদের জন্য শান্তি অবতীর্ন হোক
ওয়া আলা=এবং (তাদের) উপর
ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন = আল্লাহর নেক বান্দাদের
ই’বদিল্লাহ= ইবদ হচ্ছে আবদ এর বহুবচল যার অর্থ বান্দা/গোলাম
ইবাদ- শুধু মাত্র আল্লাহর বান্দা/গোলাম এর ক্ষেত্রে ব্যবহ্যত হয় যেমন ইবাদুর রহমান, ইবাদউল্লাহ ইত্যাদি

আস-ছ্বালিহীন = ন্যায়পরায়ণ/ধার্মিক/সচ্চরিত্র বান্দা
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু(আমি সাহ্ম্ দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই এবং মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর বন্দা ও রাসুল।)

আশহাদু= মুল শব্দ শাহিদা হতে এসেছে যার অর্থ কোন কিছু স্বচক্ষে দেখা/
সাক্ষ্য দেওয়া/প্রমাণ করা যেমন: ·আমি সাক্ষ্য দিচ্ছিযে.
শাহিদ মানে এমন একজন যাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয় যিনি সচক্ষে দেখেছেন বা কিছু প্রমান করতে পারেন।

আরো দেখেন শহিদ- নিজেকে সবচেয়ে বর/চূড়ান্ত/অধিকতম ভাবে কোরবানি দেয় জীবন বিসর্জন দেয় সবকিছু ত্যাগ করে
আন= অর্থ যে বা যিনি

লা ইলাহা ইল্লাল্লা
লা= নেই/ না প্রধানত বোঝায় একেবারে না - অবশ্যই না - কোন সম্ভাবনা নেই এমন
ইলাহা= ইলাহ রব প্রভু বা উপাসনা/বন্দনা/সেবা/ভক্তি/শ্রদ্ধা
ইলা অর্থ ছাড়া
আল্লাহ
ওয়া= এবং
আশহাদু = আমি সাক্ষ্য দিচ্ছিযে, আমি প্রমান দিচ্ছি যে
আন্না= যে ( অবশ্যই)

এখানে জোর দেয়া হয়েছে কেন এখানে ? কারন প্রথম বাক্যে বিশেষ "লা" জোরালভাবে বা মনের উপর ছাপ রেখে এমন ভাবে প্রকাশ করে কিন্তু এখানে এই লা এর প্রয়োজন ছিল না কারন প্রথম বাক্যে বলা হয়েছে এং এখানে আবার লা বলার কারন যাতে এ দুটো বাক্যই সমান ভাবে জোরালো ভাবে বলা হয় মানে দুটোই সমান গুরুত্বপুর্ন আর এর মাধ্যমে দুটি বাক্যের মাঝে সামঞ্জস্য বজায় থাকে (সুবহানাল্লাহ)

মোহাম্মাদান= যার মুল শব্দ হচ্ছে হামদ মানে প্রশংসা করা - এমন একজন যাকে সমসময় প্রশংসা করা হয় (আহমেদ- যার প্রশংসা করা হয় খুবই সুন্দর আর বিশদ /সম্প্রসারিত ভাবে.

" মোহাম্মাদ " শব্দটি মাত্র চার বার কোরআনে বলা হয়েছে - মোহাম্মদ (সঃ) কে সরাসরি উল্লেখ করে নয় কিন্তা উনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে (এবং এর মাঝে তিন বার রাসুল শব্দটি আছে একই আয়াতে)

লক্ষ্য করুন: কোরআনে যখন আল্লাহ অন্য নবীদের সম্পর্কে বলেন তিনি তাদের নামে সম্মোধন করেন যেমন ( ইয়া মুসা, ইয়া ইবরাহিম, ইয়া ঈসা) কিন্তু যখন মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে বলেন তখন তাহার শিরোনাম বা টাইটেল দিয়ে সম্মোধন করেন যেমন ইয়া নাবী, ইয়া রাসুল.

আবদুহু = মানে তাহার বাণ্দা/ ক্রীতদাস/গোলাম ,এটা অনেক শক্তিশালী. আমরা জানি নবী বলতে তাদেরকে বুঝায় যাদের স্থান সাধারন মানুষ হতে উপরে তবুও তারা আল্লাহন বাণ্দা/ ক্রীতদাস/গোলাম.

আভিজাত্য, উত্কর্ষ, মহত্ত্ব ,মর্যাদা ,সম্ভ্রম,উপাধি সকলই পাওয়া যায় আল্লহর বাণ্দা/ ক্রীতদাস/গোলাম হওয়ার মাধ্যমে.

ওয়া রাসুলুহু= এবং তাহার (আল্লাহর) বার্তাবহন কারী/দূত/সংবাদ বহন কারী। রাসুল মুল শব্দ বুঝায় ঊর্ধ্বতন/সর্বোচ্চ/সর্বোত্কৃষ্ট কারো কাছ থেকে কোন সংবাদ পাঠানো।

ভাষাগত পার্থক্য নবী ও রাসুলের মাঝে: কোরআনে যখন নবী ব্যবহার করা হয়েছে - তখন সাধারনত বুঝায় উচ্চ স্থান কে এবং গুরুত্বপুর্ন ও সম্পর্ক যুক্ত বার্তা/সংবাদ প্রদানে। নবী শব্দটি মানুষের প্রসঙ্গে বুঝান হয়েছে যেমন হে নবী...বলুন আপনার স্ত্রী দের.. বা বলুন বিশ্বাসী মহিলাদের ইত্যাদি।

কিন্তু যখন আলোচনা প্রসঙ্গ আল্লাহর হয় তখন রাসুল ব্যবহ্যত হয়েছে যেমন "বলুন হে মানব, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রাসুল/ (সংবাদ বাহক ) যাকে তুমাদের জন্য প্রেরন করা হয়েছে" আবার যেমন বলা হয়েছে হে রাসুল আমার বা্র্তা প্রদান করুন/ ছরিয়ে দিন যা আপনার কাছে প্রকাশ করা হয়েছে


তাত্পর্য: আমরা দোয়াতে সর্বদা বহুবচন ব্যবহার করি - যা সাধারনত মুসলিম উম্মার একত্রতা/এক জাতি/ এক সত্বা হিসেব বোঝাতে জোর দেয়া হয়েছে.

উপকারিতা ১: নামাজের মাধ্যমে আমরা একতা প্রদর্শন করি অনুশীলন করি ও মনোযোগ দেই এক হবার জন্য- যখন সবাই নামাজে দাড়াই একে অপরের পাশে তখন বিবেচনা বা চিন্তা করিনা পাশের জনের অর্থ, বিত্ত, প্রভাব, শিক্ষা, ধনি গরিব, সাদা কালো ইত্যাদি সকলে এক কাতেরে এক সমান আল্লাহর কাছে.

উপকারিতা ২: আমরা দোয়া করতে গিয়ে যাতে স্বার্থপর না হই কিন্তু আমাদের কে বিচক্ষণতা ও সচেতনতার বাস্তবিক হতে হয়। আমরা আমাদের জন্য প্রথমে দোয়া করি তার পর বাকি সকল ঈমানদার মানুষের জন্য দোয়া করি। চিন্তা করে দেখুন যখন বিমানে/প্লেনে ইমারজেন্সি সমপকে বলা হয় তখন বলে অক্সিজেন মাস্ক নামার সাথে সাথে আগে নিজে পড়বেন তার পর আপনার পাশের জন কে পড়াবেন কোরআলে কি তাই বলে না ?? যেমন নিজেকে বাচাও এবং তোমার পরিবারকে বাচাও.

উপকারিতা ৩: আমরা কি সকল মানুষের জন্য দোয়া করি না কি কোন দলের মানুষের জন্য দোয়া করি? নিদ্দিস্ট দলের জন্য তা হল ই’বদিল্লাহিছ্ ছ্বালিহীন = আল্লাহর নেক বান্দাদের জন্য

সকল মুসলিম ঈমানদার বান্দা নামাজে দোয়া করছেন সমসময় পৃথিবী সবখানে. আমি যদি আমাকে মুসলিম ঈমানদার বান্দা হিসেবে ধরি তবে আমিও নিজেকে দোয়াতে যুক্ত করতে পারি সকল মুসলিম ঈমানদার বান্দাদের দোয়াতে সকল নামাজে সকল সময় পৃথিবী সবখানে পরবর্তী প্রজন্মের সময় ও পুর্ববর্তী প্রজন্মের সময়। সুভানাল্লাহ কত বড় নেয়ামত আল্লাহর বরকত আল্লাহর শিক্ষা কত মহান।   

তাশাহুদের গুরুত্ব

ওমর (রা.) বলেন, তাশাহ্হুদ ছাড়া কোন নামাযই যথেষ্ট হয় না [মোসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ২য় খন্ড, ২০৬ পৃঃ, সুনামে সায়ীদ ইবনে মনসুর, তারীখে বুখারী, আল আসয়েলাহ, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃঃ]। তাই ইবনে আব্বাস (রা.) ও জাবের (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে তাশাহ্হুদ ঐভাবে শেখাতেন যেমন কুরআনের কোন সূরা শেখাতেন (মুসলিম, নাসায়ী, মেশকাত ৮৫ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহ ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে নামাযের তাশাহ্হুদ ঐরূপ শেখাতেন যেমন কোন শিক্ষক ছোট ছেলেদের শেখান। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর যুগে এস্তেখারাহ এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না (মোসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৪ পৃঃ)। আবু সায়ীদ বলেন, আমরা কুরআন এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না। [ঐ, ২৯৩ পৃঃ]। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আবু বাকর (রা.) তাঁদেরকে মেম্বারে বসে তাশাহ্হুদ শেখাতেন, যেমন শিশুদেরকে মক্তবে শেখানো হয় (ঐ, ২৯২ পৃঃ)।

রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমরা তাশাহ্হুদ শিখে নাও। কারণ, তাশাহ্হুদ ছাড়া নামাযই নেই [বাযযার, তাবারানী আওসাত, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৩৯ পৃঃ)।


শাহাদত আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব

তাশাহ্হুদে বসে আলস্নাহর সামনে আলস্নাহর রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর দুই হাঁটু গেড়ে কালেমায়ে শাহাদত পড়াটা আলস্নাহর একত্ববাদের মৌখিক স্বীকৃতি ছিল এবং মৌখিক স্বীকৃতির সাথে সাথে শাহাদাত আঙ্গুল তোলাটা আলস্নাহর একত্ববাদের বাস্তব কাজেরই স্বীকৃতি। তাই এই আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যে কত তা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহ আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মুখ থেকেই শুনুন: তিনি বলেন, শাহাদাত আঙ্গুলটি শয়তানের ওপর লোহার (বলস্নমের) চেয়েও বেশী কষ্টদায়ক (মোসনাদে আহমাদ, মেশকাত, ৮৫ পৃঃ)। নামাযে প্রত্যেক ইশারার বদলে দশটি অর্থাৎ প্রত্যেক আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী লেখা হয় [তারীখে হাকেম, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৪০ পৃঃ]।

ইশারা কোন জায়গায় করতে হবে

ইমাম নববী বলেন, তাশাহ্হুদে "ইলস্নালস্নাহ" বলার সময় ইশারা করতে হবে। সুবুলুস সালা-ম ওয়ালা বলেন, বায়হাকীর বর্ণনানুসারে লা-ইলা ইলস্নালস্নাহ বলার সময় করতে হবে। আলস্নামা তীবী ইবনে ওমর বর্ণিত একটি হাদীসের বরাত দিয়ে বলেন, ইলস্নালস্না-হ বলার সময় ইশারা করতে হবে, যাতে কথায় ও কাজে তওহীদের সামঞ্জস্য হয়ে যায়। মোলস্না আলী কারী হানাফী বলেন, হানাফী মতে 'লা-ইলা-হা বলার সময় তুলতে হবে এবং ইলস্নালস্নাহ বলার সময় রেখে দিতে হবে। আলস্নামা আবদুর রহমান মোবারকপুরী বলেন, ঐসব মতের কোনটারই প্রমাণে আমি কোন সহীহ হাদীস পাইনি (তোহফাতুল আহঅযী, ১ম খন্ড, ২৪২ পৃঃ)। তবে ইলস্নালস্নাহর ওপরে ইশারা করাটা বেশী সঙ্গত মনে হয় (আফ্যালুস সলা-ত ২০৬-২০৭ পৃঃ)।

শাফেয়ীদের মতে 'ইলস্নালস্নাহ' বলার সময় আঙ্গুল দিয়ে একবার মাত্র এশারা করতে হবে। হানাফী মতে 'লা' বলার সময় তর্জনী আঙ্গুল তুলতে হবে এবং 'ইলস্নালস্নাহ বলার সময় তা রেখে দিতে হবে। মালেকী মতে আত্তাহিয়ু্যাতুর শুরু থেকে সালাম ফেরা পর্যন্ত আঙ্গুলটিকে ডানে ও বামে নাড়াতে হবে। হাম্বলীদের মতে যখন আলস্নাহর নাম উচ্চারণ হবে তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে, কিন্তু তা নাড়াবে না (ফেক্হুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, দ্বিতীয় রাকআতে একটু আরামের জন্যই কেবল তাশাহ্হুদ রাখা হয়েছে। তাই আয়েশা বলেন, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাত পড়তেন [ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৬ পৃঃ]।






Source: Internet(facebook, somewhereinblog, youtube etc)


21 comments:

  1. মিরাজের রাত্রিতে তাশাহুদ প্রাপ্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভিত্তিযুক্ত কোনটি বলবেন মশাই??

      Delete
    2. মিরাজের রাত্রিতে তাশাহুদ প্রাপ্তির বিষয়টি কোথায় পেলেন ?

      Delete
    3. এখানে ঘটনা ভিত্তিহীন দাবি করা হয়েছে
      https://www.shottanneshi.com/tashahud-shabe-miraj/

      Delete
    4. তাশাহুদ প্রসঙ্গে Please browse this link: https://ahlehaqmedia.com/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%87/

      Delete
    5. সন্দেহ সৃষ্টি করা শয়তানের কাজ। আউযুবিল্লাহ পড়ুন

      Delete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. জানালে উপকৃত হব

    ReplyDelete
  4. মিরাজের রাতে তাশাহুদ প্রাপ্তির বিষয়টির সোর্স দিবেন প্লিজ

    ReplyDelete
  5. https://ahlehaqmedia.com/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%a6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%87/

    ReplyDelete
  6. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  7. আল্লাহ হলেন মেজবান আর আমার নবী (সাঃ) হলেন মেহমান। সুন্নত তরীকা হলো মেহমান কারো বাড়িতে গেলে মেজবানের জন্য কিছু তোহফা/উপহার নিয়ে যাওয়া। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতে গেছেন তার প্রিয় রাসুল (সাঃ), তিনি কি নিয়ে যেতে পারেন ? আল্লাহতো দুনিয়াবী কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন। তাহলে ? আল্লাহর হাবীব জনাবে মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী হলেন, এমনকি তাদের মাঝে একটি রশি বা একটি ধনুকের সমান জায়গার ব্যাবধান ছিলো তখন- শ্রেষ্ঠ তোহফা হিসেবে পড়লেন. "আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্তয়্যিবাত" “সকল মর্যাদাব্যঞ্জক ও সম্মানজনক সম্বোধন আল্লাহর জন্য। সমস্ত শান্তি, কল্যাণ ও প্রাচুর্যের মালিক একমাত্র আল্লাহ। সব প্রকার পবিত্রতার মালিকও তিনি।” এক কথায় রাসুল (সাঃ) আর্থিক, শারিরীক ও মৌখিক সব ধরনের ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য তোহফা হিসেবে পেশ করলেন। অতপর আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সা.)কে তিনটি জিনিষ দিলেন এভাবে- "আসসালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু" হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। উম্মতের কান্ডারী নবী (সাঃ) এমন মিলন মুহুর্তেও তার উম্মতকে ভুলেন নাই। আল্লাহর অনুগ্রহ তার উম্মতের জন্যও চেয়ে নিলেন এভাবে- "আসসালামু আ’লাইনা ওআ’লা- ই’বাদিল্লাহিস সলিহীন" আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দাহদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) এর এমন মধুর আলোচনা শুনে আরশবাহী- সকল ফেরেশাতাগণ সমস্বরে একত্রে বলে উঠলেন- "আশহাদু আন লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়ারাসুলুহু" আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি মোহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দাহ এবং রাসুল। আল্লাহ পাক রাব্বুল আ’লামিন, রাসুল (সাঃ) এবং ফেরেশতাদের এমন সম্মিলিত কথোপকথনই হয়ে গেলো তাশাহহুদ, যা মে’রাজের রজনীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোহফা হিসেবে পাওয়া পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ সহ প্রত্যেক নামাজের দুই রাকাত বা চার রাকা’তের বৈঠকে পড়া ওয়াজিব।

    উপরোক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে দলিল বা প্রমান পেশ করুন দয়া করে ।
    যদি তা করতে ব্যর্থ হন , তবে এই পোষ্ট হতে দলিল বিহীন যে সমস্ত বক্তব্য রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করুন । অযথা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন নে ।
    ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সবাই সব কিছু জানবে এমন নয়। তাই জ্ঞানীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে মানার নির্দেশ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামে দিয়েছেন। কিন্তু জানতে না চেয়ে অভিযোগ করে বসা মুর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে?
      ইমাম কুরতুবী রহঃ। পৃথিবী বিখ্যাত তাফসীর বিশারদ। যে কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। ইমাম কুরতুবী রহঃ স্বীয় তাফসীরে কুরতুবীতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তথা ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে লিখেনঃ
      অনুবাদ- হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় এ আয়াত মিরাজের ঘটনার সময়কার। এমনিভাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকেও কিছু বর্ণনায় তা পাওয়া যায়।
      তবে কেউ কেউ বলেছেনঃ পূর্ণ কুরআন জিবরাঈল আঃ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে নিয়ে এসেছেন এ আয়াত ছাড়া। যা রাসূল সাঃ মেরাজের রাতে শুনেছেন।
      আর কেউ কেউ বলেন, এ আয়াত মিরাজের ঘটনার সময়কার নয়। কেননা, মেরাজের ঘটনা হয়েছে মক্কায়। আর এ পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে মদীনায়।
      তবে যারা বলেন যে, এ আয়াত মেরাজের রাতে নাজিল হয়েছে তারা বলেন, রাসুল সাঃ যখন আসমানে উঠলেন এবং উঁচু স্থানে পৌঁছলেন সাথে ছিলেন জিবরাঈল আঃ। এমনকি তারা সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন। তখন তাঁকে জিবরাঈল আঃ বললেন, নিশ্চয় আমি এ স্থান অতিক্রম করতে পারবো না। আর আপনাকে ছাড়া আর কাউকে এ স্থান অতিক্রম করার অধিকার দেয়া হয়নি। তারপর রাসূল সাঃ তার অতিক্রম করলেন এবং এমন স্থানে পৌঁছলেন যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁকে পৌঁছাতে চাইলেন। তখন জিবরাঈল আঃ তাঁকে [রাসূল সাঃ] ইশারা করলেন, আল্লাহ তাআলাকে সালাম করার জন্য। তখন রাসূল সাঃ বললেন, আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত ত্বায়্যিবাতু। তখন আল্লাহ তাআলা বললেন, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। তখন রাসূল সাঃ চাইলেন সালামের একটি অংশ উম্মতীদের জন্যও বরাদ্দ হোক। তাই তিনি বললেন, আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন। তারপর জিবরাঈল আঃ এবং আসমানবাসী সবাই বলতে লাগল, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

      আলজামে লিআহকামিল কুরআন তথা তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।
      একই বর্ণনা এসেছে- বাহরুল উলুম তথা তাফসীরে শমরকন্দী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।

      ইমাম কুরতুবী রহঃ এর বক্তব্যটির দিকে ভাল করে দৃষ্টি বুলালে আমরা দেখতে পাই। তাফসীরে কুরতুবীতে বর্ণিত ঘটনাটি কোন বানোয়াট ঘটনা নয়। সেটির সনদও রয়েছে। যা হযরত হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ থেকে বর্ণিত। শুধু তাই নয়, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকেও কিছু কিছু বর্ণনায় তা উদ্ধৃত বলে ইমাম কুরতুবী রহঃ মত দিয়েছেন।
      ইমাম কুরতুবী রহঃ পরিস্কার ভাষায় লিখেছেন যে, এ আয়াতটি হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাহক রহঃ এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর কতিপয় বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, তা মেরাজ সম্পর্কিত। আর যারা উক্ত আয়াতকে মেরাজ সম্পর্কিত বলে মত দিয়েছেন তারাই এর সাথে উপরে বর্ণিত ঘটনাটি উদ্ধৃত করেছেন। তাহলে কি দাঁড়াল? এই ঘটনার বর্ণনাকারী, হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ, সেই সাথে হযরত হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর কিছু বর্ণনায়ও তা উদ্ধৃত।

      তারপরও শুধু অজ্ঞতাবশতঃ উক্ত ঘটনাটিকে সূত্রহীন ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করা মুর্খতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
      নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনাকারীর কথা উল্লেখকরতঃ বর্ণনাকৃত বক্তব্যকে প্রচলিত বানোয়াট গল্প বলে মন্তব্য করা কতটা স্পর্ধার কাজ তা বিচার করার ভার সকল বিজ্ঞ পাঠকদের কাছেই ন্যস্ত করলাম।
      অভিযোগকারী একথা বলতে পারে যে,
      ইমাম কুরতুবী রহঃ যাদের থেকে এ বর্ণনা প্রমানিত বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম কুরতুবী রহঃ স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে তিনজন বড় মুহাদ্দিস ও তাফসীরবিদ এবং ইতিহাসবীদের রেফারেন্স দিয়ে বানোয়াট গল্প এনেছেন।
      একথা বলার পর এ উদ্ভট দাবির ক্ষেত্রে দলীল পেশ করে তা প্রমাণ করতে পারে। কিন্তু বেধড়ক ঘটনাটির সূত্র সম্পর্কে যাচাই বাছাই ছাড়া ঘটনাটিকে বানোয়াট প্রচালিত গল্প বলে ঠাট্টা করা বেআদবী আর উদ্ধতপনা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।
      এসব চামচিকার ভেংচি আল্লামা ওলীপুরী দা.বা. এর মত পূর্ণিমা চাঁদকে কখনো ম্লান করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
      আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব অতি পন্ডিত মুর্খ গবেষকদের বিভ্রান্তিকর গবেষণা থেকে মুসলিম জাতিকে হিফাযত করুন। আমীন।


      والله اعلم بالصواب

      উত্তর লিখনে

      লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

      পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

      Delete
  8. আমি যতটুকু অনুসন্ধান করেছি মেরাজে আল্লাহর বর্ণিত কথোপকতনের কোন প্রমাণিত হাদীস নেই। এই বানোয়াট গল্পের মাধ্যমে আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ(সাঃ)এর নামে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। তওবা না করলে এই মিথ্যাচারের পরিণাম একমাত্র জাহান্নাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. This comment has been removed by the author.

      Delete
    2. Please browse this link: https://ahlehaqmedia.com/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%87/

      Delete
    3. একেই বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। এখানে উল্লেখিত সবগুলো কমেন্ট ও জবাব দেখুন। নিজে জান্নাতে যাবেন কিনা সেই বিচার ও চেষ্টা আগে করুন

      Delete
    4. Shahadatur Rahman,
      আপনার দেয়া লিংকে গিয়েও কোনও দলিল পেলাম না। সূরা আল বাকারা এর ২৮৫ এবং ২৮৬ আয়াতের তাফসীরের কথা বলা আছে; কিন্তু ওই আয়াতের মধ্যে মেরাজ সম্পর্কে কিছুই নেই।

      কোনও প্রকার সনদ নেই যে এই ঘটনা কোন সাহাবীর কছে শুনেছে। হাদিস অনুসারে, মিথ্যাবাদি হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে কোনও কিছু সত্যতা যাচাই না করেই প্রচার করে

      Delete
  9. :রাসূল্লাহর সাহাবী ইবনে মাসউদ(রা:) বইতে একই বর্ননা পড়েছি ---- বর্ননা ঠিক আছে ৷

    ReplyDelete
  10. Please browse this link: https://ahlehaqmedia.com/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%87/

    ReplyDelete
  11. হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
    عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن مسعود رضي الله عنه قَالَ : ( كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ ، السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ ، فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ : إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلَامُ ، فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلْ : التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ . - فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ - أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنْ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ) .
    আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করার সময় (বৈঠকে) বলতাম, আল্লাহর উপর সালাম হোক, অমুকের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেনঃ বস্তুত আল্লাহ নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। অতএব তোমাদের কেউ যখন সালাতে বসে সে যেন বলে, "আত্তাহিয়াতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত তাইয়িবা-তু আসসালা-মু 'আলাইকা আইয়ুহান নাবিইয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকুহু আসসালা-মু 'আলাইনা- ওয়া'আলা- ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন" অর্থাৎ "যাবতীয় মান-মর্যাদা, প্রশংসা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক।” যখন সে এ কথাগুলো বলে, তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌছে যায়, সে আসমানে বা জমিনেই থাক। (অতঃপর বলবে) "আশ্বহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারসূলুহু" অর্থাৎ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল।" অতঃপর সালাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু'আ পড়তে পারে। (সহীহ বুখারী-৬৩২৮,সহীহ মুসলিম৪০২)

    ReplyDelete